১) প্রাকৃতিক গ্যাস
বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন (৮০-৯০%)। অন্যান্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে ইথেন (প্রায় ১৩%)।, প্রোপেন (৩%), বিউটেন, ইথিলিন, নাইট্রোজেন।আমাদের দেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস অধিক বিশুদ্ধ যার ৯৫-৯৯% মিথেন এবং সালফার প্রায় অনুপস্থিত।
বাংলাদেশে এ পযর্ন্ত ২৯ টি গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া গেছে। আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে ২টি (সাঙ্গু ও কুতুবদিয়া) উপকূলের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এবং অবশিষ্ট গ্যাসক্ষেত্রগুলি দেশের ভূ-ভাগে অবস্থিত। ১৯৫৫ সালে বার্মা অয়েল কোম্পানি সিলেটের হরিপুরে বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে। ১৯৫৭ সালে এইগ্যসক্ষেএ থেকে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু করে।মজুদের দিক থেকে তিতাস সবচেয়ে বড় আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র। ঢাকায় তিতাস গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস সরবারহ করা হয়ে থাকে। তবে দৈনিক সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হয় বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে।
দ্রুত গ্যাস সম্পদ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে ২৩ টি ব্লকে াবভক্ত করে। আর সমুদ্র এলাকায় অনুসন্ধানের জন্য উক্ত এলাকাকে ২৬ টি ব্লকে ভাগ করা হয়।
দেশের উপকূলীয় এলাকায় দুটি গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া গেছে। সাঙ্গু দেশের প্রথম সমুদ্র এলাকায় পাওয়া গ্যাসক্ষেত্র। দ্বিতীয়টি হল কুতুবদিয়া।
খনিজ তেল
বাংলাদেশে ১৯৮৬ সালে প্রথম সিলেটের হরিপুরে সর্বপ্রথম খনিজ তেল পাওয়া যায়।এছাড়া মৌলভীবাজারের বরমচালে একটি তেলক্ষেএ আবিষ্কৃত হয়। হরিপুরের তেলক্ষেত্র থেকে ১৯৮৭ সালে তেল উত্তোলন শুরু হয়।কিন্তু ১৯৯৪ সালে তেল উৎপাদন এটি থেকে বন্ধ হয়ে যায়। কাংলাদেশের তেল শোধনাগার ইস্টার্ণ রিফাইনারি চট্টগ্রামে অবস্থিত।
- তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি নাইকো কানাডিয়ান কোম্পানি।
- ইউনোকল যুক্তরাষ্ট্রের তেল কোম্পানি।
কয়লা
১৯৬১ সালে প্রথম জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জে কয়লা খনি আবিষ্কৃত হয়।মুজদ কয়লার দিক দিয়ে এটি সবচেয়ে বড় কয়লাক্ষেত্র। এটা ছাড়াও নওগাাঁর পত্নীতলা, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায়, ফুলবাড়িয়ায় , সুনামগঞ্জ জেলার টাকেরহাটে প্রভৃতি স্থানে উন্নতমানের বিটুমিনাস ও লিগানাইট কয়লা পওেয়া যায়। খুলনার কোলা বিলে পিট কয়লা পাওয়া গেছে। ‘আইভরি ব্ল্যাক’ হলো অস্থিজ কলা। দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়ায় বাংলাদেশ জেলার প্রথম কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।বর্তমানে কয়লা খনির সংখ্যা ৫ টি।
কঠিন শিলা
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর ও দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে।
চুনাপাথর
টাকেরহাট, জাফলং, ভাঙ্গারহাট, জকিগঞ্জ, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রচুর চুনাপাথর পাওয়া গেছে।
চীনা মাটি
নেত্রকোনার বিজয়পুর, নওগাঁর পত্নীতলা, দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে চীনামটি পাওয়া গেছে। চীনামাটি বলতে মূলত কেয়োলিন কাদা মণিক দিয়ে গঠিত সিরামিক শিল্পে ব্যবহার্য উন্নতমানের কাদাকে বুঝায়।
সিলিকা/কাচ বালি
সুনামগঞ্জের টাকেরহাট, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জামালপুরের গারো পাহাড়ে সিলিকা বালি পাওয়া গেছে। কাচাবালির সবচেয়ে বেশি মজুদ সিলেট অঞ্চল্
তেজস্ক্রিয় বালু
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পাওয়া যায়। এদের কালো সোনা বলা। এগুলোর মধ্যে জিরকন, মোনাজহাইট ও জাহেরহাইট অন্যতম।বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভূ- বিজ্ঞানী এম এ জাহের আবিষ্কৃত পদার্থটিকে তার নাম অনুসারে জাহেরহাট রাখা হয়।
নুড়িপাথর
সিলেট, পঞ্চগড় এবং লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে নুড়িপাথর পাওয়া গেছে।
গন্ধক
চট্টগ্রামের টাকেরহাটে একমাত্র গন্ধকখনি পাওয়া গেছে।
তামা
রংপুর জেলার রানীপুকুরে, দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় তামার সন্ধান পাওয়া গেছে।
ইউরেনিয়াম
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পাহাড়ে ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে।
খনিজ বালি
কুতুবদিয়া ও টেকনাফে প্রচুর পরিমাণে খনিজ বালি পাওয়া গেছে।
২)শক্তি সম্পদ
এক নজরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত
- বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (মেঃওঃ): ২০,১৩৩*
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন (মেঃওঃ): ১১,৬২৩ (১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮)
- গ্রাহক সংখ্যা: ৩ কোটি ১১লক্ষ
- মোট সঞ্চালন লাইন (সা.কি.মি.): ১১,২৯৩
- বিতরণ লাইন (কি.মি.): ৪ লক্ষ ৭১ হাজার
- সিস্টেম লস: ১১.৮৭% (জুন ২০১৮)
- বিতরণ লস: ৯.৬০% (জুন ২০১৮)
- মাথাপিছু উৎপাদন (কিঃওঃআঃ): ৪৬৪ কিঃওঃআঃ
- বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী: ৯০%
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সমূহ
বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র | নারায়নগঞ্জ জেলার হরিপুরে। |
বাংলাদেশের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র | কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। |
বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র | সিলেটের হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র |
বাংলাদেশের প্রথম কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র | দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায়। |
বাংলাদেশের প্রথম বার্জমাউন্টেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র | খুলনার বার্জমাউন্টেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র |
বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র | দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায়। |
বাংলাদেশের পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র | ১ টি। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। |
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে | ১৯৬২ |
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে | ১৯৬৫ |
বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করা হয়েছে | কর্ণফুলী নদীতে বাধঁ দিয়ে। |
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা | ২৩০ মেগাওয়াট |
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে | কর্ণফুলী নদীতে |
কাপ্তাই ড্যাম অবস্থিত | কাপ্তাই বাধঁ, রাঙামাটি |
বাংলাদেশ আনবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম | রূপপুর পারমানবিক বিদ্যু কেন্দ্র |
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যু কেন্দ্র অবস্থিত | রূপপুর, পাবনা |
সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম | বিজয়ের আলো |
বাংলাদেশে প্রথম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয় | নরসিংদী জেলার করিমপুর ও নজরপুরে |
বাংলাদেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র | চট্টগ্রামের সন্দীপে |
বিদ্যুৎ বিতরণের সাথে জড়িত | Dhaka Electric Supply Company LTD (DESCO).
Dhaka Power Distribution Company LTD (DPDC) Electrification Board বা পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড (REB). |
গ্রাম বাংলায় বিদ্যুৎতায়নের দায়িত্ব সরাসরি নিয়োজিত | পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড (REB). |
- চট্টগাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দাতামারা ইউনিয়নের মোহাম্মপুর এলাকায়া নির্মিত হতে যাচ্ছে ৪০ মেগাওয়ার্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়েৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।