বাংলাদেশের নদ-নদী
বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদী
বাংলাদেশে প্রায় ৭০০ নদ-নদী আছে। মোট নদী দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,১৫৫ বর্গকিলোমিটার।
পদ্মাঃ পদ্মা নদীর পূর্বনাম কীর্তিনাশা। এই নদী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রাজবাড়ির গোয়ালন্দে যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে পদ্মা নিয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নাম ধারন করে বঙ্গপোসাগরে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশে গঙ্গা – পদ্মা বিধৌত অঞ্চল ৩৪,১৮৮ বর্গকিলোমিটার। শাখানদী কুমার, মাথাভাঙা, ভৈরব, গড়াই, মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ ইত্যাদি। উপনদী হল পুনর্ভবা, নাগর, পাগলা, কুলিক ও ট্যাংগন, মহানন্দা ইত্যাদি।
ব্রহ্মপুত্রঃ এ নদ হিমালয় কৈলাস শৃঙ্গের নিকট মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রথমে তিব্বতের উপর দিয়ে পূর্ব দিকে ও পরে আসামের ভিতর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রভাহিত হয়েছে।উৎপত্তিস্থলে নাম সাঙপো। এরপর ব্রহ্মপুত্র কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এটি ভৈরব বাজারে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে। দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে এই নদ বিশ্বে ২২ তম।বাংলাদেশের নদী গুলোর মধ্যে এটি দীর্ঘপথ(২৮৫০কি.মি) অতিক্রম করেছে। ধরলা ও তিস্তা প্রধান উপনদী এবং বংশী ও শীতলক্ষ্যা প্রধান শাখানদী।
মেঘনাঃ আসামের বরাক নদী নাগা- মণিপুর অঞ্চল হতে উৎপন্ন হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নাম নিয়ে সিলেট জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।আবার আজমিরিগঞ্জ গিয়ে মিলিত হয়ে কালনী নাম নিয়ে কিছুদূর গিয়ে আবার মেঘনা নাম ধারন করেছে। ভৈরববাজারে পুরাতন ব্রহ্মপত্রের সাথে মিলিত হয়ে আবার চাঁদপুরে পদ্মার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে বঙ্গপোসাগরের পড়েছে।
কর্ণফুলীঃ আসামের লুসাই পাহাড় হতে উৎপন্ন হয়ে রাঙ্গামাটি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।দৈর্ঘ্য প্রায় ৩২০ কিমি। উপনদী কাসালং, হালদা এবং বোয়ালখালী। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর এই নদীর তীরে।
নদীর সংখ্যা |
৭০০ টি [ সূত্রঃ মাধ্যমিক ভূগোল] ৩১০ টি [ সূত্রঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যা পকেটবুক] ২৩০ টি [ সূত্রঃ ছোটদের বিশ্বকোষ] |
বাংলাদেশের মোট নদী দৈর্ঘ্য |
২২,১৫৫ বর্গকিলোমিটার [ সূত্রঃ মাধ্যমিক ভূগোল] ২৪১৪০ বর্গকিলোমিটার |
বাংলাদেশের দীর্ঘতম,গভীরতম,প্রশস্ততম(ভোলার দিকে) ও সবচেয়ে নাব্য নদী | মেঘনা |
উৎপত্তি স্থলে মেঘনার নাম | বরাক নদী |
যে নদী বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে দুইভাগ হয়ে কিছু দূর প্রবাহিত হয়ে পুনরায় মিলিত হয়েছে | মেঘনা |
দুইভাগ হয়ে মেঘনা প্রবাহিত হয়েছে | সুরমা ও কুশিয়ারা নামে |
সুরমা ও কুশিয়ারা নদী কোথায় মিলিত হয়েছে | আজমেরীগঞ্জ/ভৈরব বাজারের নিকট |
মিলিত হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা যে নাম নিয়েছে | কালনি |
কালনি কিছুদুর গিয়ে যে নাম ধারন করে | মেঘনা |
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদ | ব্রহ্মপুর |
ব্রহ্মপুর নদ প্রবাহিত হয়েছে | চীন(তিব্বত), ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে |
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম নদী | গোবরা (মাত্র ৪ কিঃমিঃ) |
বাংলাদেশের খরস্রোতা নদী | কর্ণফুলী [চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর এই নদীর তীরে অবস্থিত।] |
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত | কর্নফুলী নদীর ওপর(১৯৬২) |
কোন নদীতে বাধঁ দিয়ে কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করা হয়েছে | কর্নফুলী নদীতে [বাংলাদেশে রাঙ্গামাটি দিয়ে প্রবেশ করেছে।] |
সবচেয়ে বেশি চর | যমুনা |
যমুনা নদীর পূর্ব নাম | জোনাই নদী |
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্তকারী নদী | নাফ নদী |
নাফ নদীর দৈর্ঘ্য | ৫৬ কিঃমিঃ |
বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী | হাড়িয়াভাঙ্গা |
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপ যে নদীর মোহনায় | হাড়িয়াভাঙ্গা |
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উৎপত্তি ও সমাপ্তি হয়েছে | হালদা নদীর |
এশিয়ার সর্ববৃহৎ ‘প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র’ | হালদা নদী |
বানিজ্যিকভাবে মাছের রেনু পোনা সংগ্রহ করা হয় | হালদা নদী |
বাংলামদশের মোট অভিন্ন নদী বা আন্তঃসীমান্ত নদী |
৫৮ টি [সূত্রঃবাংলা পিডিয়া] ৫৭ টি [সূত্রঃযৌথ নদী কমিশন] |
ভারত হতে আসা অভিন্ন নদী বা আন্তঃসীমান্ত নদী |
৫৫ টি [সূত্রঃবাংলা পিডিয়া] ৫৪ টি [সূত্রঃযৌথ নদী কমিশন] |
মিয়ানমার হতে আসা অভিন্ন নদী বা আন্তঃসীমান্ত নদী | ৩ টি (সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও নাফ) |
বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবশেকারী নদী | ১ টি (কুলিখ) |
বাংলাদেশ হতে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে | আত্রাই, পুর্নভবা ও ট্যাঙ্গন |
বাংলাদেশের নদ | ব্রহ্মপুত্র, কপোতাক্ষ, আঁড়িয়াল খাঁ |
কুমিল্লার দুঃখ বলা হয় ও জোয়ার ভাটা হয়না | গোমতি নদীতে।[কুমিল্লা এই নদীর তীরে অবস্থিত] |
ব্যক্তির নামে নদী | রূপসা নদী।[রূপলাল সাহার নামে] |
রূপসা নদীর সাথে ভৈরব নদী মিলিত হয়েছে | খুলনায় |
বাংলাদেশের একমাত্র আর্ন্তজাতিক নদী | পদ্মা |
নদী গভেষনা কেন্দ্র | ফরিদপুর |
নদী শিকস্তি | নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত মানুষ |
নদী পয়স্তি | নদীতে চর জাগলে যারা চাষাবাদ করে |
গঙ্গা-বহ্মপুত্র-মেঘনার সম্মিলিত নদী অববাহিকার বাংলাদেশের অর্ন্তভূক্ত অংশ | ৩৩% |
বাকল্যান্ড(১৮৬৪) বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত | বুড়িগঙ্গা |
বুড়িগঙ্গা নদীর পূর্ব নাম | দোলাই নদী(দোলাই খাল) |
তিস্তা নদীর উপর ভারতের জলপাইগুড়ির গজলডোবাত নামক স্থানে ভারত ব্যারেজ নির্মান করে | ১৯৮৫ |
উত্তরবঙ্গের লাইফ লাইন বলা হয় | তিস্তা নদীকে |
নিঝুম দ্বীপ অবস্থিত | মেঘনা নদীর মোহনায় |
বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর | নারায়নগঞ্জ |
কোন জেলাটির নামকরন করা হয়েছে নদীর নামে | ফেনী |
জগন্নাথগঞ্জ ঘাট | জামালপুর |
চট্ট্রগ্রামের দু:খ বলা হয় | চাকতাই খাল |
বাংলার দু:খ বলা হয় | দামোদার নদীকে।(পশ্চিমবঙ্গের ২য় বৃহত্তম নদী) |
বাংলাদেশর উত্তরাঞ্চলের লাইফলাইন | তিস্তা নদী |
বাংলাদেশর পশ্চিমাঞ্চলের লাইফলাইন | গড়াই নদী |
পশ্চিমা বাহিনীর নদী বলা হয় | বিল ডাকাতিয়াকে। |
বাংলার সুয়েজ খাল বলা হয় | গাবখান নদীকে। |
- বাংলাদেশের নদী গভেষণা ইনস্টিটিউড ফরিদপুরে অবস্থিত। এটি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে।
- ভারত-বাংলাদেশ যোৗথ নদী কমিশন গঠিত হয় ১৯৭২ সালে।
- ব্রহ্মপুত্রের পুরাতন প্রবাহ প্রবাহিত হয়েছে ময়মনসিংহের মদ্য দিয়ে যা ভৈরবের কাছে মেঘনায় মিলিত হয়েছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ পরিবর্তিত হয় ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের জন্য যার ফলে নতুন স্রোতধারায় যমুনার উৎপত্তি হয়।
নদীর নাম | নদীর প্রবেশ স্থল(জেলা) |
পদ্মা | নবাবগঞ্জ(বৃহত্তর রাজশাহী) |
মেঘনা | সিলেট |
ব্রহ্মপুত্র | নাগেশ্বর, কুড়িগ্রাম |
তিস্তা | নীলফামারী |
নাফ | টেকনাফ, কক্সবাজার |
কর্ণফুলী | রাঙ্গামাটি |
সাঙ্গু, মাতামুহুরি | বান্দরবান |
বিভিন্ন নদীর ওপর বাধঁ
নাম | যে নদীর উজানে |
ফারাক্কা ব্যারেজ | গঙ্গা |
মহানন্দা ব্যারেজ | মহানন্দা |
তিস্তা ব্যারেজ | তিস্তা |
মনু ব্যারেজ | মনু |
খোয়াই ব্যারেজ | খোয়াই |
মহারানী ব্যারেজ | গোমতি |
কালনি ব্যারেজ | মুহুরী |
বিভিন্নি নদীর পূর্ব নাম
নদীর নাম | অন্যনাম বা পূর্ব নাম |
পদ্মা | কীর্তিনাশা |
যমুনা | জোনাই নদী |
বহ্মপুত্র | লোহিত্য |
বুড়িগঙ্গা | দোলাই নদী/খাল |
গুরুত্বপূর্ণ ফেরীঘাট
ফেরীঘাট |
অবস্থান |
দৌলদিয়া | রাজবাড়ি |
আরিচা | মানিকগঞ্জ |
পাটুরিয়া | মানিকগঞ্জ |
মাওয়া | মুন্সিগঞ্জ |
কাওরাকান্দি | মাদারিপুর |
নগরবাড়ি | পাবনা |
নদী, উপনদী ও শাখানদী
নদী | উপনদী | শাখানদী |
পদ্মা | মহানন্দা | কুমার, মাথাভাঙ্গা,ভৈরব, গড়াই, মধুমতি, ইছামতি, কপোতাক্ষ, আড়িয়াল খাঁ। |
মেঘনা | গোমতি, মনু, বাউলাই, তিতাস | |
যমুনা | করতোয়া, আত্রাই | ধলেশ্বরী |
বহ্মপুত্র | ধরলা, তিস্তা | যমুনা, শীতলক্ষ্যা, বংশী |
মহানন্দা | পুর্নভবা, নাগর, ট্যাঙ্গন, কুলিখ | |
কর্ণফুলী | হালদা, বোয়ালখালি, কাসালং | |
ধলেশ্বরী | বুড়িগঙ্গা | |
ভৈরব | কপোতাক্ষ ও পশুর | |
প্রধান নদ-নদী মিলিত হবার স্থান
নদ-নদীর নাম | মিলনস্থল | মিলিত হওয়ার পর নদীর নাম |
পদ্মা ও যমুনা | গোয়ালন্দ (রাজবাড়ি), দৌলদিয়া | পদ্মা |
পদ্মা ও মেঘনা | চাঁদপুর | মেঘনা |
কুশিয়ারা ও সুরমা | আজমিরীগঞ্জ | কালনি [কালনি ভৈরব বাজারের নিকট মেঘনা নাম ধারন করেছে] |
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা | ভৈরব বাজার | মেঘনা |
বাঙালি ও যমুনা | বগুড়া | যমুনা |
হালদা ও কর্ণফুলী | কালুরঘাট, চট্টগ্রাম | কর্ণফুলী |
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র | চিলমারী, কুড়িগ্রাম | ব্রহ্মপুত্র |
রূপসা ও ভৈরব | খুলনা | রূপসা |
বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীর উৎপত্তি স্থল
নদী | উৎপত্তিস্থান |
পদ্মা | হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ হতে |
মেঘনা | আসামের নাগা মনিপুর পাহাড়ের দক্ষিনে লুসাই পাহাড় থেকে |
যমুনা | জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের নিকট ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা যমুনা নামে দক্ষিন দিকে প্রবাহিত হয়েছে |
ব্রহ্মপুত্র | তিব্বতের হিমালয়ের কৈলাশ শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর হ্রদ হতে। উৎপত্তিস্থলে নাম সাঙপো। |
কর্ণফুলী | মিজোরামরে লুসাই পাহাড়ের লংলেহ থেকে |
সাঙ্গু | আরাকান পাহাড় |
তিস্তা | সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল |
করতোয়া | সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল |
মাতামুহুরী | লামার মইভার পর্বত হতে |
মহুরি | ত্রিপুরার লুসাই পাহাড় হতে |
ফেনী | পার্বত্য ত্রিপুরার পাহাড় |
গোমতী | ত্রিপুরার ডুমুর পাহাড় থেকে |
খোয়াই | ত্রিপুরার আঠারমুড়া পাহাড় |
সালদা | ত্রিপুরার পাহাড় |
হালদা | খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বতশৃঙ্গ |
মনু | মিজোরাম পাহাড় থেকে |
মহানন্দা | হিমালয় পর্বতমালার মহালদিরাম পাহাড় |
নদ-নদী তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ
স্থানের নাম | নদী | স্থানের নাম | নদী |
ঢাকা/লালবাগকেল্লা | বুড়িগঙ্গা | রাজশাহী | পদ্মা |
কুমিল্লা | গোমতী | মাদারীপুর | পদ্মা |
মুন্সিগঞ্জ | ধলেশ্বরী | সারদা | পদ্মা |
সিলেট | সুরমা | শিলাদহ | পদ্মা |
সুনামগঞ্জ | সুরমা | রাজবাড়ি | পদ্মা |
ছাতক | সুরমা | মাওয়াঘাট | পদ্মা |
নরসিংদী | মেঘনা | দৌলদিয়াঘাট | পদ্মা |
আশুগঞ্জ | মেঘনা | আরিচা ঘাট | পদ্মা |
জিয়াসার কারখানা | মেঘনা | ভেড়ামারা | পদ্মা |
চাঁদপুর | মেঘনা | পাকসী | পদ্মা |
নোয়াখালী | মেঘনা/ডাকাতিয়া | শরীয়তপুর | পদ্মা |
চট্টগ্রাম | কর্ণফুলী | গোয়ালন্দ | পদ্মা |
চন্দ্রঘোনা | কর্ণফুলী | সিরাজগঞ্জ | যমুনা |
কাপ্তাই | কর্ণফুলী | টাঙ্গাইল | যমুনা |
নীলফামারী | তিস্তা | মানিকগঞ্জ | যমুনা |
রংপুর | তিস্তা | নগরবাড়ি | যমুনা |
লালমনিরহাট | তিস্তা | বাহাদুরহাট | যমুনা |
ময়মনসিংহ | পুরাতন ব্রক্ষপুত্র | জগন্নাতাবাদ | যমুনা |
জামালপুর | পুরাতন ব্রক্ষপুত্র | ভূয়পুর ঘাট | যমুনা |
কিশোরগঞ্জ | পুরাতন ব্রক্ষপুত্র | বরগুনা | বিশখালী |
বাগেরহাট | মধুমতি | দিনাজপুর | পুর্ণভবা |
গোপালগঞ্জ | মধুমতি | ফরিদপুর | আড়িয়াল খাঁ |
টুঙ্গিপাড়া | মধুমতি | ফেণ্জুগঞ্জ | কুশিয়ারা |
বাংলাবান্ধা | মহানন্দা | পাবনা | ইছামতি |
চাপাইনবাবগঞ্জ | মহানন্দা | মেহেরপুর | ইছামতি |
পঞ্চগড় | করতোয়া | ঝালকাঠি | বিশখালী |
মহাস্থানগড় | করতোয়া | ঠাকুরগাঁও | টাঙ্গন |
বগুড়া | করতোয়া | কুড়িগ্রাম | ধরলা |
নারায়নগঞ্জ | শীতলক্ষ্যা | মাগুরা | কুমার ও গড়াই |
ঘোড়াশাল | শীতলক্ষ্যা | নাটোর | আত্রাই |
ভৈরব | শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা | গাইবান্ধা | আত্রাই |
খুলনা | রূপসা ও ভৈরব | ||
ফেনী | ফেনী | ||
বরিশাল | কীর্তনখোলা | ||
মৌলবিবাজার | মনু | ||
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | তিতাস | ||
যশোর | কপোতাক্ষ | ||
সাতক্ষীরা | পাঙ্গাশিয়া | ||
পটুয়াখালী | পায়রা | ||
গাজিপুর/টঙ্গি | তুরাগ | ||
মংলা | পশুর | ||
চালনা বন্দর | পশুর | ||
রাঙ্গামাটি | কর্ণফুলী ও শংখ | ||
বান্দরবান | শংখ | ||
শেরপুর | কংশ | ||
কক্সবাজার/টেকনাফ | নাফ | ||
হবিগঞ্জ | খোয়াই | ||
কুড়িগ্রাম | ধরলা | ||
ঝিনাইদহ | নবগঙ্গা |
- চেঙ্গী নদী খাগড়াছড়িতে অবস্থিত।
- ধানসিড়ি নদী বরিশালে অবস্থিত।
- The river rajat Rekha is located in Munshigong district.
- Payan river located in Shylet.
টিপাইমুখ বাধঁ
উৎপত্তিস্থলে মেঘনা নদীর নাম বরাক নদী। বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিঃমিঃ পূর্বে ভারতের মণিপুর রাজ্যে টিপাইমুখ নামক স্থানে বরাক ও তুতভাই নামক নদীর সংযোগ স্থলে ভারত সরকার একটি বাধঁ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।এই বাধঁ নির্মিত হলে বাংলাদেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।এই বাধেঁর দৈর্ঘ্য ১৫০০ ফুট বা ৫০০ মিটার এবং সমুদ্র সমতল হতে উচ্চতা প্রায় ৫৯০ ফুট বা ১৮০ মিটার।
বিল
নদী, বিল ও হাওর বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের উৎস। বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের উৎস হলো চলনবিল। চলনবিল বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল।চলনবিলের মধ্যদিয়ে আত্রাই নদী প্রবাহিত হয়েছে। ডাকাতিয়া বিলকে ‘পশ্চিমা বাহিনী নদী’ বলা হয় যেটি খুলনায় অবস্থিত।
বিল | অবস্থান | বিল | অবস্থান |
চলনবিল | পাবনা ও নাটোর | বিল ডাকাতিয়া | খুলনা |
তামাবিল | সিলেট | আড়িয়াল বিল | শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ |
ভবদহ | যশোর | বাইক্কা বিল | শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার |
বগা(বগা কাহন) | বান্দরবান |
হাওড়
হাওড় | অবস্থান | তথ্য |
হাকালুকি | মৌলভীবাজার ও সিলেট | এশিয়া ও বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওড় (আয়তন-২১৫০০ হেক্টর) |
টাঙ্গুয়ার | সুনামগঞ্জ | বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম স্বাদু পানির জলাভূমি |
হাইল | শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার | |
বুরবুক | জৈন্তাপুর | বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম হাওড় |
- প্রান্তিক হ্রদ বান্দরবান জেলার হলুদিয়া নামক স্থানে অবস্থিত।
- ফয়েজ লেক চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ। ফয়েজ লেকের পাশেই রয়েছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় বাটালি পাহাড়। বগালেক বগাকাইন লেক নামেও পরিচিত। কেওক্রাডং এর কোল ঘেষে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রাকৃতিভাবে সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সৌন্দর্যময় বগালেক। লেকটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫৭-৬১০ মিটার উঁচুতে পাহাড়ে অবস্থিত।
- সাধারণত নদীর পরিত্যক্ত খালকে ঝিল বলে।যেমন: হাতিরঝিল।
জলপ্রপাত ও ঝরনা
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় অবস্থিত মাধবকুন্ডু জলপ্রপাত। এর উৎপত্তি বড়লেখা থানার পাথুরিয়া পাহাড় হতে। মাধবকুন্ডু জলপ্রপাতের পানি ২৫০ ফুট উপর হতে নিচে পতিত হয়। মাধবকুন্ডে বর্তমানে ইকোপার্ক আছে। হামহাম জলপ্রপাত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত। শুভলং জলপ্রপাত রাঙামাটিতে। শৈল প্রপাত, নাফাখুম, বাকলাই ও ঋজুক জলপ্রপাত গুলো বান্দরবানে। রিছাং জলপ্রপাতটি খাগড়াছড়িতে অবস্থিত।
- বাংলাদেশে শীতল পানির ঝরনা হলো কক্সবাজারের হিমছড়ি পাহাড়ের ঝরণা।
- বাংলাদেশে উষ্ণ পানির ঝরনা হলো চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ঝরনা। সীতাকুন্ডে বর্তমানে ইকোপার্ক আছে।