স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ভাস্কর্য
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার:
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকা মেডিকেল কলেজপ্রাঙ্গনে অবস্থিত। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা ১৯৫২ সারে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে শহীদদের স্মরণে একটি শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে শহীদ মিনারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।ঐ দিন সকালেই শহীদ শফিউরের পিতা শহীদ মিনারটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু পুলিশ ও সেনাবাহিনী ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে পেলে।অবশেষে রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতি দেওয়ার পর ১৯৫৭ সালে পুনরায় শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্থানি সৈন্যরা শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে পেলে।১৯৭৩ সালে শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণ করা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থপতি হলেন হামিদুর রহমান। যুক্তরাজ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দুটি প্রতিকৃতি স্থাপিত হয়েছে।
অন্যান্য শহীদ মিনার
শহীদ মিনার | স্থপতি | অবস্থান |
মোদের গৌরব | অখিল পাল | বাংলা একাডেমি চত্ত্বর |
অমর একুশে/ভাষা আন্দোলন | জাহানারা পারভীন | জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় |
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার | রবিউল হোসের | জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় |
স্মৃতি মিনার | হামিদুজ্জামান | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
শহীদ মিনার (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) | শিল্পী মুর্তজা বশীর | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
স্বাধীনতা স্মরণে ভাস্কর্য
জাগ্রত চৌরঙ্গী:
মহান মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মির্ত ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী।শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক জাগ্রত চৌরঙ্গীর ভাস্কর। ১৯৭৩ সালে এটি নির্মাণ করা হয়।মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য।গাজীপুরের জয়দেবপুর সড়কদ্বীপে দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপত্যকর্মটি স্থাপন করা হয়।
অপরাজেয় বাংলা
অপরাজেয় বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য।এটি নির্মাণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেক। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলার নারী-পুরুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বিজয়ের প্রতীক এই ভাস্কর্য।১৯৭৩ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর উদ্বোধন করা হয় ১৯৭৯ সালে।
সাবাস বাংলাদেশ
সাবাস বাংলাদেশ বাংলাদেশের স্মৃতিবিজড়িত ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।এই ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত। এর স্থপতি নিতুন কুন্ডু। ১৯৯২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন।
বিজয় কেতন
ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নাম ‘বিজয় কেতন’। এর মূল ফটকে অবস্থিত ভাস্কর্যটির নামও ‘বিজয় কেতন’। এই ভাস্কর্যটিতে রয়েছে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার মূর্তি; এদের একজন হলেন বাংলাদেশের পতাকাবাহী নারী। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০০ সালে।
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এস.সির সড়কদ্বীপে রয়েছে ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’ ভাস্কর্যটি।১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ এ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করা হয়।এ ভাস্কর্যটির নির্মাতা চারুকলা ইন্সটিটিউডের অধ্যাপক শামীম শিকদার।
স্বাধীনতা সংগ্রাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলের সড়ক দ্বীপে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ভার্স্কযটি নির্মিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য।১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন।এ ভাস্কর্যটির নির্মাতা শামীম শিকদার।বাঙালির ইতিহাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলন পর্যন্ত সমস্ত বীরত্বতে ধারণ করে তৈরি করা হয়েছে এ ভাস্কর্য।
সংশপ্তক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯০ সালে নির্মিত হয়েছিল স্মারক ভাস্কর্য সংশপ্তক। এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত এক পা হারিয়ে রাইফেল হাতে লড়ে যাচ্ছে অকুতোভয় বীর সেই সংশপ্তক।এর ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান।
স্মৃতি অম্লান
স্মৃতি অম্লান রাজশাহী শহরের ভদ্রা এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ। ১৯৯১ সালের ২৬ মার্চ এর উদ্বোদন করা হয়। এর স্থপতি রাজিউদ্দিন আহমদ।
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় (বর্তমান নাম মুজিবনগর) প্রবাসী সরকার শপথ গ্রহণ করেন।চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৯৮৭ সালে এখানে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করা হয়। স্মৃতিসৌধের ডিজাইনের নকশা করেন স্থপতি তানবীর করিম।
রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ
ঢাকা শহরের পশ্চিমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশেই এই স্মৃতিসৌধটি অবস্থিত। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রখ্যাত সন্তানদের হত্যা করে এই স্থানে পরিত্যক্ত ইটের ভাটার পশ্চাতে ফেলে রাখা হয়েছিল।এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য ইটের ভাটার আদলে এই স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। এর স্থপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও জামি আল শাফি।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নির্বিচারে এদেশের সূর্য সন্তানদের হত্যা করে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটি উদ্বোধন করেন। এর স্থপতি মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি।
শিখা অনির্বাণ এবং শিখা চিরন্তন
শিখা অনির্বাণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ। যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সৈনিকদের স্মৃতিকে জাতির জীবনে চির উজ্জ্বল করে রাখার জন্য এই স্মৃতিস্তম্ভে সার্বক্ষণিকভাবে শিখা প্রজ্জ্বলন করে রাখা হয়। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় এটি অবস্থিত।শিখা চিরন্তন রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত একটি স্মরণ স্থাপনা। ১৭৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই স্থানটিতে দাড়িয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান করেন।
বিজয়-৭১
মহান মুক্তি সংগ্রামে বাংলার সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মূর্তপ্রতীক ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য বিজয়-৭১। বিখ্যাত ভাস্কর শিল্পী শ্যামল চৌধুরীর তত্ত্ববধানে ২০০০ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
বিজয় কেতন
ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নাম ‘বিজয় কেতন’। এর মূল ফটকে অবস্থিত ভাস্কর্যটির নামও ‘বিজয় কেতন’।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ
‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ’ কলকাতায় অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার ইসলামিয় কলেজের বেঁকার হোস্টেলের নবনির্মিত বর্ধিত ভবনের নাম রাখা হয়। বঙ্গবন্ধু স্মৃতিভবন ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতিভবনের নামফলক উন্মোচিত করেন। পাশাপাশি ২৪ নম্বর কক্ষের সামনে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষমূর্তি এবং ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সংগ্রহশালার উদ্বোধন করা হয়।
রাজসিক বিহার
২০০৮ সালে ঢাকা মহানগরীর ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউর রূপসী বাংলা হোটেল (হোটেল শেরাটন) এর সামনে নির্মাণ করা হয়। ‘রাজসিক বিহার’ নামক একটি ভাস্কর্য।
মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ
নীলক্ষেত সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে ‘মুক্তি ও গণতন্ত্র’ নামক তোরণ নির্মিত হয়েছে। এর স্থপতি রবিউল হুসাইন।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত ভাস্কর্য
ভাস্কর্য | স্থপতি/ভাস্কর্য | অবস্থান |
অপরাজেয় বাংলা | সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে |
বীরের প্রত্যাবর্তন | সুদীপ্ত মল্লিক সুইডেন | বাড্ডা, ঢাকা |
প্রত্যাশা | মৃণাল হক | ফুলবাড়িয়া, ঢাকা |
স্বাধীনতা | হামিদুজ্জামান খান | কাজী নজুরল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা |
সংশপ্তক | হামিদুজ্জামান খান | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে |
৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি | ভাস্কর রাশা | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে |
মুক্তবাংলা | রশিদ আহমেদ | বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে |
স্মারক ভাস্কর্য | মুর্তজা বশীর | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে |
বিজয়-৭১ | শ্যামল চৌধুরী | ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের |
চেতনা-৭১ | মোহাম্মদ ইউনুস | পুলিশ লাইন, কুষ্টিয়া |
চেতনা-৭১ নামে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য় | মৃনাল হক | শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট |
প্রত্যয় ৭১ | মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল | |
অপরাজেয় ৭১ | ঠাকুরগাঁও | |
অঙ্কুরিত যুদ্ধ৭১ | মুন্সিগঞ্জে | |
দুর্জয় | মৃণাল হক | রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা |
রক্তসোপান | রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস, গাজীপুর | |
অঙ্গীকার | সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেত | চাঁদপুর |
বিজয় উল্লাস | কুষ্টিয়া পৌরসভায় অবস্থিত | |
বিজয় গাঁথা | রংপুর সেনানিবাস | |
‘বীর বাঙ্গালি | যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে |
গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্য ও স্থপতি
ভাস্কর্য | স্থপতি/ভাস্কর্য | অবস্থান |
স্টেপস | হামিদুজ্জামান খান | সিউল অলিম্পিক |
মিশুক | মুস্তফা মনোয়ার | শাহবাগ, শিশু পার্কের সামনে |
জাতীয় জাদুঘর | মাহবুবুল হক ও মোস্তফা কামাল | শাহবাগ, ঢাকা |
শিশু পার্ক | সামসুল ওয়ারেস | শাহবাগ, ঢাকা |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার | আলী ইমাম | বিজয় সরনি, ঢাকা |
বোটানিক্যাল গার্ডেন | সামসুল ওয়ারেস | মিরপুর, ঢাকা |
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর | লারোস | কুর্মিটোলা, ঢাকা |
কমলাপুর রল স্টেশন | বব বুই | কমলাপুর, ঢাকা |
রামপুরা টেলিভিশন কেন্দ্র | পিটার সেলসিং ও মাহবুবুল হক | রামপুরা, ঢাকা |
টি.এস. সি ভবন | কনস্টানটাইন ডক্সাইড | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
গোল্ডেন জুবলি টাওয়ার | মৃণাল হক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
শাপলা চত্বর | আজিজুল জলিল পাশা | মতিঝিল, ঢাকা |
দোয়েল চত্বর | আজিজুল জলিল পাশা | কার্জন হল, ঢাকা |
বাংলাদেশ ব্যাংক | শফিউল কাদরে | মতিঝিল, ঢাকা |
** হাতিরঝিল প্রকল্পের স্থপতি এহসান খান
** মুক্তি ও ঘণতন্ত্র তোরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত।
বিবিধ
স্থাপনা | অবস্থান | জ্ঞাতব্য |
দিব্যক জয়স্তম্ভ | পত্নীতলা, নওগাঁ | |
নদা বুরুজ | চাঁপাইনবাবঞ্জ | |
হরিশচন্দ্রের ভিটা | সাভার, ঢাকা | |
লাঙ্গলবান্দা | সোনারগাঁ | হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান |
মীর জুমলার কামান | ওসানী উদ্যান | আসাম যুদ্ধে ব্যবহারিত হয়। |
ঢাকা গেইট | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে | নির্মাতা- মীর জুমলা |
ঢাকা তোরণ | বনানী | |
কমনওয়েল সমাধি | চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধি |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি | শিলাদহ, কুষ্টিয়া | |
শিখা অনিবার্ণ | ঢাকা সেনানিবাস | এই স্মৃম্তিস্তম্ভে সার্বক্ষনিকভাবে শিখা প্রজ্জ্বলিত থাকে। |
শিখা চিরন্তন | সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা | |
স্বাধীনতা চত্বর | ঢাকা সেনানিবাস | |
জাতীয় স্কয়ার | পুরাতন বিমান বন্দর, তেজগাঁও ঢাকা | |
বঙ্গবন্ধু স্কয়ার মনুমেন্ট | গুলিস্থান, ঢাকা | |
বাংলাদেশ সচিবালয় | তোপখানা রোড, ঢাকা | |
রাষ্ট্রপতি সচিবালয় | পুরাতন বিমান বন্দর, তেজগাঁও ঢাকা | |
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় | শেরে বাংলা নগর, ঢাকা | |
প্রধানমন্ত্রীর ভবন | শেরে বাংলা নগর, ঢাকা | প্রধানমন্ত্রীর সন্ধ্যাকালীন কার্যালয় |
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় | তেজগাঁও, ঢাকা | |
গণভবন | শেরে বাংলা নগর, ঢাকা | |
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মা’ | রমনা, ঢাকা | |
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘মেঘনা’ | রমনা, ঢাকা | |
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’ | হেয়ার রোড, ঢাকা | |
নজরুল মঞ্চ | বাংলা একাডেমি | |
মুক্তমঞ্চ | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | |
হলিডে হাউস | কয়াকাটা, পটুয়াখালী | একটি অত্যাধুনিক হোটেল |
বাংলার তাজমহল | সোনারগাঁ, নারায়নগঞ্জ | নির্মাতা- আহসানউল্লাহ মনি |
বাংলাদেশের জাদুঘর
বরেন্দ্র গভেষণা জাদুঘর: বরেন্দ্র গভেষণা জাদুঘর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ জাদুঘর।রাজশাহী শহরে অবস্থিত বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জাদুঘর। ১৯১০ সালের ১০ ডিসেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরটি রক্ষনাবেক্ষন করে। ১৯১৬ সালে এর উদ্বোধন করা হয়।এ জাদুঘর বাংলাদেশের গৌরবময় অতীত ইতিহাসের নিদর্শনসমূহ সংরক্ষন ও গবেষণার ব্যাপারে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাদুঘরে রয়েছে সিন্ধু সভ্যতা, মহাস্থান, নালন্দা ও পাহাড়পুরের বহু নিদর্শন। বাংলাদেশের প্রাক ইসলামী যুগের শিলালিপি, মুদ্রা, তাম্রলিপি, দলিল, ফরমান ও ভাস্কর্য। এছাড়াও দুষ্প্রাপ্য পুস্তক ও পত্রিকা সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থাকার।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ঢাকা শহরের শাহবাগ মোড়ে অবস্থিত দেশের প্রধান জাদুঘর। ১৯১৩ সালের ৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ঢাকা জাদুঘর’ এর উদ্বোধন করা হয়। ঢাকা জাদুঘরের প্রথম কিউরেটর ছিলেন নলনীকান্ত ভট্টশালী। ১৯৮৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা জাদুঘরকে ‘জাতীয় জাদুঘর’ এর মর্যাদা প্রধান করা হয়।
** বাংলাদেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ জাদুঘর ঢাকার সোহাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত।
জাদুঘরের নাম |
অবস্থান |
বরেন্দ্র গভেষণা জাদুঘর | রাজশাহী |
জাতীয় যাদুঘর | শাহবাগ, ঢাকা |
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর | আগারগাঁও, ঢাকা |
ভাষা আন্দোলন জাদুঘর | বর্ধমান হাউস, বাংলা একাডেমি, ঢাকা |
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর | সেগুনবাগিচা, ঢাকা |
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ‘বিজয়কেতন’ | ঢাকা সেনানিবাস |
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর | ঢাকা |
শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
ভাষা আন্দোলন জাদুঘর | ধানমণ্ডি, ঢাকা |
লোক ঐতিহ্য সংগ্রহশালা | বাংলা একাডেমি, ঢাকা |
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর | সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাদুঘর | ঢাকা সেনানিবাস |
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর | ঢাকার ধানমণ্ডির ৩২ নং রোডে |
জিয়া স্মৃতি জাদুঘর | চট্টগ্রামের সাবেক সার্কিট হাউজে |
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা | ময়মনসিংহ |
ওসমানী জাদুঘর | সিলেট |
গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর | সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী |
লালন জাদুঘর | দেউরিয়া, কুষ্টিয়া |
কুঠিবাড়ি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর | শিলাদহ, কুষ্টিয়া |
কাচারিবাড়ি স্মৃতি জাদুঘর | শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ |
শেরে বাংলা জাদুঘর | চাখার, বরিশাল |
জাতিতাত্ত্বিক বা নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর | আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম |
রকস মিউজিয়াম | পঞ্চগড় |
পোস্টাল জাদুঘর | ঢাকা জি.পি.ও |
সামরিক জাদুঘর | বিজয় সরণি, তেজগাঁও, ঢাকা |
বাংলাদেশ রাইফেলস জাদুঘর | ঢাকার পিলখানায় |
ঢাকা মহানগর জাদুঘর | আহসান মঞ্জিল, ইসলামপুর ঢাকা |
ঢাকা নগর জাদুঘর | ঢাকার নগরভবনে |
বিজয় কেতন | ঢাকা সেনানিবাস |
বাংলাদেশের পার্ক
বাংলাদেশের প্রাচীনতম পার্ক | বাহাদুরশাহ পার্ক |
এশিয়ার বৃহত্তম ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন | সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম |
বাংলাদেশের প্রথম ইকোপার্ক | সীতাকুণ্ড (চন্দ্রনাথ পাহাড়), চট্টগ্রাম |
সাফারি পার্ক | জীবজন্তুর অভয়ারণ্য |
বাংলাদেশের প্রথম সাফারি পার্ক | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ও প্রজনন কেন্দ্র, চকোরিয়া, কক্সবাজার |
বাংলাদেশ তথা এশিয়ার বৃহত্তম সাফারি পার্ক | বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, শ্রীপুর, গাজীপুর |
বাংলাদেশের প্রথম ঔষুধ শিল্প পার্ক স্থাপিত হচ্ছে | মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাতে |
বাংলাদেশের প্রথম হাইটেক পার্ক স্থাপিত হচ্ছে | কালিয়াকৈর, গাজীপুর |
বাংলাদেশের প্রথম প্রজাপতি পার্ক গড়ে উঠেছে | চট্টগ্রামে |
বাংলাদেশের প্রাচীনতম গার্ডেন | বলদা গার্ডেন |
বিশ্ব ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান ঘোষনা করে। ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান ঘোষনা করা হয়। বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান বিশেষ ধরনের (বন, পাহাড়, হ্রদ, মরুভূমি, স্মৃতিস্তম্ভ, দালান, প্রাসাদ বা শহর) একটি স্থান যা ‘আন্তর্জাতিক বিশ্ব ঐতিহ্য প্রকল্প’ কতৃর্ক প্রস্তুতকৃত তালিকায় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য-
ক্রম | নাম | অন্তুর্ভক্তির বছর |
৩২১ | ঐতিহাসিক মসজিদের নগরী বাগের হাট (ষাট গম্বুজ মসজিদ) | ১৯৮৫ |
৩২২ | পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার | ১৯৮৫ |
৭৯৮ | সুন্দরবন | ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ |
রামসার কনভেনশন:
রামসার কনভেনশন হলো বিশ্বব্যাপী জৈব পরিবেশ রক্ষার একটি সম্মিলিত প্রয়াস। ১৯৭১ সালে ইরানের রামসারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসমূহ ‘কনভেনশন অন ওয়েটল্যান্ড’ নামক একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এতে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিকে তালিকাভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের ‘সুন্দরবন’ ও ‘টাঙ্গুয়ার হাওর’ রামসার তালিকাভুক্ত হয়েছে।